প্রেম, বিচ্ছেদ এবং মৃত্যু—জীবনের এই তিন সত্যকে নিয়ে বাংলা কবিতায় বারবার ফিরে এসেছেন কবি মুকতাদির। তাঁর কবিতাগুলোতে কষ্টের কবিতা, ভালোবাসার কবিতা, এবং মৃত্যু নিয়ে কবিতা একাকার হয়ে যায়। এই ব্লগে তাঁর ৫টি চিরায়ত রচনার সংকলন ও বিশ্লেষণ।
“জীবন ও মৃত্যুর পার্থক্য”
তার বারাত গেল
আমার জানাজা গেল
ফুল তার মাথায় ছিল
ফুল আমার শরীরে ছিল
তার সঙ্গে সখীরা ছিল
আমার সঙ্গে বন্ধুরা ছিল
ওদিকে কাজী ছিল
ইদিকে মৌলবি ছিল
ওদিকে হাসির আওয়াজ
ইদিকে কান্নার সাগর
সে সাজে গেল
আমাকে সজায়ো হলো
সে উঠে গেল
আমাকে তুলে নেওয়া হলো
আলোর দিক পরিবর্তন – মৃত্যু নিয়ে কবিতা
তার মুখে জ্বলছে আলোর দীপ,
আমার চারপাশে কেবল আঁধার।
সে হাসির সুরে গাইছে গান,
আমি স্তব্ধ এক শূন্যতার ঘোরে।
দুটি নতুন ঠিকানা – বিচ্ছেদের বাংলা কবিতা

সে নেমে গেলো নতুন ঘরে,
আমি গেলাম অচেনা শহরে।
তার ঘর সাজানো ফুলে ফুলে,
আমার পথ ঢাকা ধুলোয় ধুলোয়।
তার গায়ে চন্দনের গন্ধ,
আমার গায়ে আতরের ছোঁয়া।
সে স্বপ্ন দেখে আগামীর,
আমি পড়ে থাকি স্মৃতির পাতায়।
ছাদনাতলার গল্প – প্রেম ও মৃত্যুর কবিতা
সে চাঁদের আলোয় দাঁড়িয়ে,
আমি তারার তলে বসে।
তার সামনে নতুন পথ,
আমার পায়ে ক্লান্তি জমে।
তার কপালে সিঁদুরের রেখা,
আমার কপালে শীতল স্পর্শ।
সে শুনছে মন্ত্রের ধ্বনি,
আমি হারিয়ে যাচ্ছি নীরবতায়।
দুটি জানালা – কষ্টের কবিতা
সে জানালা খুলে আকাশ দেখে,
আমি জানালাহীন এক কক্ষে।
তার পাশে ভালোবাসার মানুষ,
আমার পাশে অচেনা ছায়া।
সে স্বপ্ন আঁকে নতুন ক্যানভাসে,
আমি স্মৃতি গাঁথি পুরনো পাতায়।
তার জীবন শুরু হলো,
আমার গল্প শেষ হলো।
“কোন কবিতার লাইনটি আপনার হৃদয় ছুঁয়েছে? নিচে লিখুন!”
মুকতাদিরের কবিতায় মৃত্যু “আঁধার”, “শূন্যতা” বা “নীরবতা” হিসাবে চিত্রিত (যেমন: আলোর দিক পরিবর্তন)।
কবিতার ভাষায় আবেগ প্রকাশ পেলে তা হৃদয়ের বোঝা লাঘব করে
Conclusion:
এই কবিতাগুলোর মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে প্রেম, বিচ্ছেদ, কষ্ট, এবং মৃত্যু সবসময় মানুষের মনের মধ্যে গূঢ় ও অমীমাংসিত অনুভূতিকে উপস্থাপন করে। বাংলা কবিতার এই সব বিষয়গুলি সময়ের সাথে পাল্টে না গিয়ে বরং আরও গভীর হয়ে ওঠে, এবং পাঠককে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। আশা করি, এই কবিতাগুলি আপনাদের মনের গভীরে পৌঁছাবে এবং আপনার জীবনের কিছু অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে।